জাপানে মহামারি করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। করোনা মহামারির শুরুতে জাপানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত থাকলেও হঠাৎ করেই দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। 

মাত্র ২৩ দিনেই অন্তত এক লাখ শনাক্ত হয়েছেন, এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় সাড়ে দশ হাজার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাপানের টোকিও, ওসাকা, কিয়োটোসহ বেশ কয়েকটি শহরে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।এদিকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরামের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানি বন্ধ থাকায় এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে টিকার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। 

সমস্যা সমাধানে টিকা সরবরাহে বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্সের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বজুড়ে সুষ্ঠু ও সমহারে টিকা বণ্টনের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি কোভ্যাক্স কর্মসূচি শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে, করোনার ধাক্কায় ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় টিকা রফতানি বন্ধ রেখেছে সেরাম ইন্সটিটিউট। 

সংকট নিরসনে কোভ্যাক্সের সাড়ে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংস্থাটির গবেষক। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাস আমরা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা আশা করছি না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এগিয়ে আসলে কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের টিকার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।