অবশেষে মুক্তি পেলেন হাসিনা বেগম। নামের মিল থাকায় গত ১ বছর ৪ মাস ২০ দিন ধরে সাজা খাটছেন তিনি। অথচ মাদকের মামলায় ৬ বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন হাসিনা আক্তার। 

নামের একাংশের মিল থাকায় এভাবে কপাল পুড়ছিল হাসিনা বেগমের। অবশষে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞার ভার্চুয়াল আদালত হাসিনা বেগমকে মুক্তির আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।বিষয়টি সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর অতিরিক্ত ৫ম আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামের প্রথম অংশ ও স্বামীর নামের সঙ্গে মিল। তবে অপরাধীর নামের সঙ্গে মিল থাকলেও বাবা-মায়ের নামের সঙ্গে রয়েছে অমিল। 

কারাগারে থাকা হাসিনা বেগমের বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার পৌরসভার চৌধুরী পাড়ায়। তিনি হামিদ হোসেনের স্ত্রী। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসিনা আক্তারও একই এলাকার ইসমাইল হাজি বাড়ির হামিদ হোসেনের স্ত্রী।হাসিনা বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, আদালত হাসিনা বেগমকে কারাগার থেকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। 

আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় পাইনি। তবে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ছবিযুক্ত বালামে প্রকৃত হাসিনা আক্তার ও হাছিনা বেগম একই আসামি নন বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।