ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলায় ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম। মজুদ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবারও। 

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। 

ঘুর্ণিঝড় 'ইয়াস' বাংলাদেশে ২৫ বা ২৬ তারিখে আঘাত হানতে পারে।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার উমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

জেলা ও উপজেলায় ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার ও জরাজীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বিদ্যুৎ সংযোগ ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

পাঁচজন এডিসি উপকূলবর্তী উপজেলাগুলোর আশ্রয় কেন্দ্রগুলো এরইমধ্যে পরিদর্শন করেছেন। গোখাদ্য কেনার জন্যে প্রতিটি উপজেলায় একলাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আরও জানান, উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং। 

উপকূলবর্তী সকল উপজেলার ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসিসহ স্ব স্ব এলাকার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

লঘুচাপটি নিম্নচাপের পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ইয়াস। এটি একটি পার্সিয়ান শব্দ, যার ইংরেজি হচ্ছে জেসমিন। বাংলায় যাকে বলা হয় জুঁই ফুল। নামটি দিয়েছে ওমান।