চীনের প্রথম স্থায়ী মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা রকেটের বড় অংশটি শনিবার সকালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। 

আশঙ্কা করা হচ্ছে এটি পৃথিবীর যেকোন জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে এই প্রথম চীন পরোক্ষভাবে মুখ খুলেছে। 

প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো রকেটটি ‘অনিয়ন্ত্রিত’ এবং এর কারণে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে যে খবর ছড়াচ্ছে তা ‘অহেতুক প্রচারণা’।পরিস্থিতি মোটেই আতঙ্কিত হওয়া মতো নয় বলে মহাকাশখাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঊদ্ধৃত করে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, রকেটটির বেশিরভাগ অংশই পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশের সময়ই পুড়ে যাবে; খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ ভূমিতে, মানুষের কার্যকলাপ থেকে অনেক দূরে কোনো এলাকায় বা সমুদ্রে পড়তে পারে। 

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সদস্য ম্যাকডোয়েল বলেছেন, পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশের পর রকেটের ২১ টন ওজনের অংশটি টুকরো টুকরো হয়ে এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে পারে, যেমনটা ছোট বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দেখা যায়। 

১০০ মাইল এলাকাজুড়ে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় এসব টুকরো পাওয়া যেতে পারে।সম্প্রতি চীন থেকে নিক্ষেপ করার পর ‘লং মার্চ ফাইভ বি’ নামের ২১ টন ওজনের রকেটটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সচরাচর পরিত্যক্ত রকেট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। কিন্তু চীনা রকেটের অংশটিকে তেমন কিছু করা হয়নি। 

তাই ১০০ ফুট লম্বা মূল অভ্যন্তরীণ অংশ প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে।মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর জানায়, রকেটের অংশটি শনিবার পৃথিবীতে এসে পড়বে। 

এটি পৃথিবীতে প্রবেশের আগে বলা যাবে না, কোথায় গিয়ে আঘাত হানবে। এয়ারোস্পেস কর্পোরেশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলো অতিক্রম করে বিষুবরেখার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে আঘাত হানতে পারে রকেটের ধ্বংসাবশেষ।