করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু বিধি-নিষেধ দিয়ে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। 

গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে 'সর্বাত্মক লকডাউন' দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়।প্রজ্ঞাপনে ১৩ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। 

সকল প্রকার পরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। পরে অবশ্য ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। 

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। 

খাবারের দোকান হোটেল-রেস্তোরাঁ দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রি করা যাবে। 

শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। 

কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষপটে বেশ কয়েটি নির্দেশনা দিয়ে গত ৩ মার্চ ‘লকডাউনের’ ঘোষণা দেয় সরকার। 

ওই ঘোষণা অনুযায়ী ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর ছিল। পরে এই 'লকডাউন' ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম কারো মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

এরপর মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২৩ মার্চ প্রথমবারের মত ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দেয় সরকার। শুরুতে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে।