মানুষ যখন একদিকে হিমশিম করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে , তখন অন্যদিকে চোখ রাঙাচ্ছে গরম। তীব্র দাবদাহে চরম অস্বস্তি নেমে এসেছে রাজধানীসহ সারাদেশে। 

গত দুই সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৪০-এর ঘরে ছিল। তবে বুধবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বৃষ্টির আভাস না থাকলেও ঢাকায় সন্ধ্যা থেকেই গুমোট গরম আর আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। 

রাত ১১টা ২৫ মিনিটে রাজধানীতে শুরু হয় ধূলিঝড়। এরপর হয় বৃষ্টি। তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তি বয়ে আনে এই শীতল বাতাস আর বৃষ্টি। ঢাকা ছাড়াও পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। 

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শ্রীমঙ্গল ও রাজারহাটেও বৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিমাণ খুব বেশি নয়।বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামীকাল ৩০ এপ্রিল ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস সন্ধ্যায় বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের কয়েকটি এলাকায় বৃহস্পতিবার ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। 

এ ছাড়া ঢাকাসহ অন্য এলাকাগুলোর তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে। তবে ৩০ এপ্রিলের দিকে ঢাকাসহ আশপাশের কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। 

এর প্রভাবে কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, আজকালের মধ্যে ভারি বৃষ্টিপাত না হলে তাপমাত্রা কমে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।