বরিশালে লকডাউন বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। 

এ সময় লকডাউন ভেঙ্গে দোকান খোলা রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের দায়ে ১০ জন ব্যক্তি ও ৯ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা আদায় করে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়। 

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এসএম রাহাতুল ইসলাম জানান, লকডাউন বাস্তবায়নসহ স্বাস্থ্যবিধি তদারকিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজার ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর সদর রোড ও চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। 

এ সময় লকডাউন ভেঙ্গে দোকান খোলা রাখায় ৯টি প্রতিষ্ঠান এবং মাস্ক না পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের দায়ে ৪ ব্যক্তির কাছ থেকে ৬ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।জেলা প্রশাসনের অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাভেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে অপর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাস্ক বিহীন ৬ জন ব্যক্তিকে ১ হাজার ৯শ টাকা জরিমানা আদায় করেন।অভিযানকালে পৃথক ভ্রাম্যমান জনসাধারনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে এবং করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষায় সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন। 

জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার এসএম রাহাতুল ইসলাম।এদিকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আজও বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লা রুটের লঞ্চ-বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে নগরীর অভ্যন্তরে কিছু থ্রি-হুইলার এবং রিক্সা চলেছে। এসব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন বাজারের দোকানপাঠ খোলা রয়েছে। 

বাজারে লোকজনের ভিড়ের কারণে স্বাস্থ্যবিধি উবে গেছে। নগরীর চকবাজার, কাঠপট্টি ও গীর্জা মহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশাধনী ও পোষাক এবং মোবাইল ফোন বিক্রির দোকানগুলো চোরাগোপ্তাভাবে খোলা রাখা হচ্ছে। সাটার টেনে ভেতরে বেঁচাবিক্রি করছে তারা। এতে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি দুটোই উপেক্ষিত হচ্ছে।অপরদিকে লকডাউন প্রত্যাহার এবং দোকান খোলা রাখার দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্যবসায়ীরা। 

বেলা ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার থেকে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কাছে দোকান খোলা রাখার দাবি জানান।তবে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার তাদের বলেছেন, জরুরি ও খাদ্য পন্যের দোকান সরকারের নির্দেশে খোলা রাখা হয়েছে। 

প্রশাসন এ ক্ষেত্রে মানবিক রয়েছে। তবে অন্যান্য ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনার শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই। কারন ইদানিং হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি এবং মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের হার দুটোই বেড়েছে। 

এ অবস্থায় লকডাউন মেনে সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।