কুমিল্লায় কান্দিরপাড়-চকবাজার সড়ক অবেরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ীরা। 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, কুমিল্লায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার সাথে প্রায় এক লাখ মানুষ সম্পৃক্ত আছে। গত বছরের সাধারণ ছুটির কারণে অনেকগুলো উৎসবে ব্যবসা চালু রাখতে পারেননি তারা। 

এতে অনেকে ঋণ করে কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন, অনেকে বাধ্য হয়ে কর্মচারী ছাঁটাই করেছেন। ওই ক্ষতি না পুষিয়ে উঠতেই পুনরায় লকডাউন দেওয়ায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন তারা।তাদের দাবি, সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়াতে মার্চ মাসের শুরুতে সরকার তাদের সতর্ক করতে পারতো। 

কিন্তু কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই সরকার আকস্মিক সিদ্ধান্ত দেওয়াতে পথে বসতে হচ্ছে তাদের। সামনে পয়লা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতর। 

এসময় সীমিত পরিসরে ব্যবসা চালু রাখার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, খন্দকার হক টাওয়ারের সভাপতি আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সদস্য রিয়াজ উদ্দিন।কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, ‘আমরা চাই সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট খোলা রাখতে। 

সরকার যেহেতেু সীমিত পরিসরে অনেক কিছু খোলা রেখেছেন, দোকানপাট খোলা রাখতে সমস্যা কোথায়? আমাদের ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা বেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে রাস্তায় গিয়ে বসে থাকবো, আর ঘরে ফিরবো না।

পরে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কার্যালয়ে যান।এমপি বাহার আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বৃহস্পতিবারের পরে ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কি বলে শুনবো। না হলে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।