এতিমখানা ছাড়া কওমি মাদ্রাসাসহ সারা দেশের সব ধরনের মাদ্রাসা (আবাসিক ও অনাবাসিক) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। 

এ নির্দেশ পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্প্রতি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ায় মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গত ২৯ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে। বর্তমানে দেশে লকডাউন বলবৎ আছে। 

ইতোপূর্বে সরকার ২২ মে পর্যন্ত দেশের সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এরপরও সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু আবাসিক ও অনাবাসিক মাদ্রাসা এখনও খোলা রয়েছে মর্মে জানা যায়, যা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে অত্যন্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসাসহ (এতিমখানা ব্যতীত) সব মাদ্রাসা (আবাসিক ও অনাবাসিক) বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। 

এ নির্দেশ পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না।গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে করোনার মধ্যেই গত ১২ জুলাই থেকে কওমী মাদ্রাসাসমূহের হিফজ বিভাগ খুলে দেয়ার অনুমতি দেয় সরকার। 

গত ৮ জুলাই এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরও আগে গত ১ জুন থেকে দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো। 

এরপর গত বছরের ২৫ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ কওমি মাদরাসার কিতাব বিভাগ খোলার অনুমতি দেয়।তবে কয়েক ধাপে ছুটি বাড়ানোর পর ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল। 

কিন্তু করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় স্কুল-কলেজের ছুটি ২২ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। 

এরপর ২৮ মার্চ মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২২ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।