সারাদেশে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও খাবারের দোকানের পাশাপাশি পোশাক এবং অন্যান্য শিল্প কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি লকডাউনে যেন মানুষের চলাচল যতটাসম্ভব বন্ধ করা যায়। কারণ যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে মানুষের ঘরে থাকা জরুরি। 

তবে জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান, কাঁচা বাজার খাবার ও ওষুধের দোকান লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, এছাড়াও পোশাক ও শিল্প কারখানাগুলো খোলা থাকবে। কারণ কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরার বিষয় থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। 

তবে কারখানায় শ্রমিকদের একাধিক শিফটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।লকডাউনের বিষয়ে আজকালের (শনি ও রোববার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সোমবার থেকে সারাদেশ এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম কারো মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ২৩ মার্চ প্রথমবারের মত ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দেয় সরকার।শুরুতে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। 

টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশে ৬ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৫৫ জনের। 

আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন। 

এর মধ্যে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৮৩০ জনের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে আরও ৫০ জনের।