দেশের ইতিহাসের দুই মাহেন্দ্রক্ষণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে সঙ্গী হয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।রাজধানীর মিরপুরের সরকারি পিএইচ সেন্টারের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ইশারা ভাষায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে এ দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের যে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ, তাতে শুক্রবারের অনুষ্ঠানের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। 

বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় দিনের আয়োজনে প্রথম পর্বে আলোচনার পর থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, মুজিববর্ষের থিম সংগীত, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন এবং স্বাগত সম্ভাষণের পর থিমভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।আলোচনা পর্বে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভি লাভরফের ধারণ করা শুভেচ্ছা বার্তা দেখানো হয়। পরে অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বক্তব্য দেন। এরপর অতিথিদের দেওয়া হয় ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধা-স্মারক।এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা পর্ব শেষ হয়।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে থাকবে বন্ধু রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’ থিমের ওপর সিজি অ্যানিমেশন ভিডিও, কবিতা আবৃত্তি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ওপর লোকসংগীত পরিবেশনা, নৃত্যনাট্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। 

দুই প্রজন্মের শিল্পীদের মেলবন্ধনে মিশ্র মিউজিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের ১০ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা হয়েছে গত ১৭ মার্চ, জাতির পিতার জন্মদিনে। 

২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে তার সমাপ্তি হবে।আয়োজনের প্রথম দিন বুধবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ মার্চ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সঙ্গী হবেন।