করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায়  তিনি একথা জানান। 

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।শিক্ষামন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার করোনাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আগামীকালের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ‌্যে ফেলতে পারি না। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছেন। যেহেতু করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাই এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আজ টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক রয়েছে। 

বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী আগামীকাল চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন।করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ছিল। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে।এর আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। 

এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেওয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুল খুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেয়। 

ফলে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর স্কুল-কলেজ খোলার আগে শিক্ষকদের টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক করে দুই মন্ত্রণালয়।তবে চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুল-কলেজে ছুটি বাড়তে পারে ধারণা করা হচ্ছে। এবার সে ইঙ্গিতই দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।