শেষ ধাপের পৌরসভা এবং উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেবে না বিএনপি। গত শনিবার দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল দলটি।সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যর্থতা ও সরকারের বেআইনি হস্তক্ষেপ সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। 

এজন্য আসন্ন অবশিষ্ট পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৈঠকে সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ঢাকা সফরকালে দেওয়া বক্তব্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। 

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির অবস্থান গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এ সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোরের গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে আলোচনা হয়। 

কার্টুনিস্ট ও লেখক মুশতাক আহমেদসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক বন্দিদের ওপর নির্যাতনে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এই আইনের আওতায় আটক সব বন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি সভায় গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। এ আইন বাতিলের দাবিতে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সিদ্ধান্ত হয়, মূল দল ও অঙ্গসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্থায়ী কমিটির সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়।