ঢাকায় অঘোষিত কারফিউর মতো অবস্থা জারি করে সরকার জনগণকে বাদ দিয়েই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের যে অবস্থা বিরাজ করছে, তা কারও কাছে প্রত্যাশিত নয়। জনগণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনগণকে বাদ দিয়েই আজকে এই দিনটি সরকার উদযাপন করছে।শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ফলে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে নেতাকর্মীরা জিয়ার কবরস্থানে যেতে পারেননি। পুলিশের অনুমতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া করে চলে যান।এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কারাগারে বন্দি ছিলেন। 

আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর তিনি বাংলাদেশের সরকারের হাতে বন্দি রয়েছেন। আমাদের গণতন্ত্রের রাজনীতির অর্জন হচ্ছে এটা। ৫০ বছর পরেও আমরা স্বাধীন নই। আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন ও শৃঙ্খলিত। আমরা শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার জন্য সংগ্রাম করছি।করোনা আগ্রাসীভাবে বাংলাদেশ আক্রমণ করছে দাবি করে তিনি বলেন, করোনার দিকে সরকার উদাসীন। 

তারা বিদেশি মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। দেশের মানুষের কী হবে কী হবে না এ বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অমীমাংসিত যেসব সমস্যা রয়েছে, বিশেষ করে কোটি মানুষের জীবন-মরণের সমস্যা পানি, অভিন্ন নদীগুলোর পানির হিস্যার সেখানে কোনো সমধান হয়নি। বারবার বলা হয়েছে তিস্তা নদীর পানির কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি। 

অথচ আমাদের সরকার একতরফাভাবে ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিয়েছে। আজকে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। আমরা সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। কিন্তু কেউ আমাদের প্রভু হোক, এটা আমরা কখনও চাই না।