জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক বড় নেতা ছিলেন। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পথ অনুসরণ করেই কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জন যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু :বাংলাদেশের প্রাণ' শিরোনামে এ লেকচার সিরিজে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বান কি মুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। 

আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কোয়ান ও কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।বান কি মুন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

বিশ্বজুড়ে তিনি অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। স্মৃতিচারণ করে বান কি মুন বলেন, আমি যখন দিল্লিতে কোরিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তা ছিলাম, তখন আমার ফাউন্টেন পেন দিয়েই বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। এটি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা।বাংলাদেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন বান কি মুন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাই।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধে সারাজীবন কাজ করেছেন। 

বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার জনকই ছিলেন না; তিনি ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষেও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে বান কি মুনের সম্পর্ক রয়েছে- এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই বান কি মুন সারাবিশ্বে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছেন। 

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন শুধু নয়; এ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বান কি মুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।