আস্থাভোটে টিকে গেল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গদি। সরকার বাঁচাতে পার্লামেন্টে তার দরকার ছিল ১৭২ ভোট। 

সেখানে ৬ ভোট বেশি পেয়ে নিজেরে এবং সরকারের অবস্থান দৃঢ় করেছেন ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)।আস্থা ভোটের ফল প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, আট বছর আগে ১৭৬ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ইমরান খান।সিনেট নির্বাচনে ইমরান খানের অর্থমন্ত্রী আবুদল হাফিজ শেখ পরাজিত হয়েছিলেন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপল’স পার্টির নেতা ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে। 

এতে হতাশাজনক অবস্থায় পড়েছিল তার সরকার। তাই ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য স্বেচ্ছায় জাতীয় পরিষদে আস্থা ভোট আহ্বান করেন।পাকিস্তানের সংসদে ৩৪১টি ভোট। এর মধ্যে জয়ের জন্য কমপক্ষে ১৭২ ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ইমরান খানের। 

সেখানে ৬ ভোট বেশি  পেয়ে ১৭৮ পান তিনি। আস্থা ভোট বর্জন করে মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর একটি জোট পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন (পিডিএম)।শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৫৫ জন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) সদস্যরা। 

এছাড়া এমকিউএমপি পার্টির ৭, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির ৫, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের ৫, গ্রান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের ৩, আওয়ামী মুসলিম লিগের ১ ও জমহুরি ওয়াতান পার্টির একজন সদস্য তার পক্ষে ভোট দেন। 

এছাড়া একজন স্বতন্ত্র সদস্যের ভোটও পেয়েছেন তিনি।আস্থা ভোটে জেতার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে ভাষণ দেন। আস্থাভোটে তাকে জয়ী করার জন্য তিনি নিজ দল ও মিত্রদলগুলোকে ধন্যবাদ জানান।