জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি জাতি সশস্ত্র বাঙালিতে রুপান্তরিত হয়। 

এ ভাষণের কারণেই পাকিস্তানী শোষন ও শাসনের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরনা পায়। যার মধ্যে বাঙালি খুঁজে পেয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করার সকল কলা কৌশল। ৭ মার্চ শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতিসহ বিশ্বের কাছে শ্রেষ্ঠ ভাষনের মর্যাদা পেয়েছে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই বাংলাদেশকে সোনার দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। 

তার এই স্বপ্ন এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। 

তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই দেশ আবারও পাকিস্তান হয়ে যাবে। বাংলাদেশকে আবারও মাথা নিচু করে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকর ষড়যন্ত্রকে দূরে ঠেলে দিয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের কাছে মাথা উচু করিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন। 

উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, শহর ও কোতয়ালী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাতী লীগ, দিনাজপুর প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন।