মিয়ানমারের রাজপথে জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ লাখো জনতার,লাখো জনতার এমন বিক্ষোভ লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে পুলিশ।রোববার সকাল থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপরই ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কিছু এলাকায় কঠোর হতে থাকে নিরাপত্তা রক্ষীরা। ছুড়তে শুরু করে ফাঁকা গুলি, টিয়ার গ্যাস।ফেসবুকের লাইভ ভিডিওতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশের লাশিও শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।ঐতিহাসিক মন্দিরের শহর বাগানে আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী। 

অবশ্য বেশ কয়েকটি শহরে এখনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে।ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনা বাহিনী ও পুলিশের গুলিতে নিহতদের স্মরণে মান্দালয়ে দুই মিনিট নীরবতা পালন করে রাজপথে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাউইর একজন আন্দোলনকারী নেতা জনতার উদ্দেশে বলেন, তারা মানুষকে পাখির মতো হত্যা করছে। 

তাদের বিরুদ্ধে যদি বিদ্রোহ না করি আমরা তাহলে কী করবো? আমরা অবশ্যই বিদ্রোহ করবো।এরআগে রাতভর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। এমন পরিস্থিতিতেও সকালের দিকে রাজপথে জড়ো হন বিক্ষুব্ধরা। এই এলাকায় সকালের দিকে গুলি ছুড়েছে পুলিশ। 

পরে অন্তত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বড় জয় পেলেও তার স্বীকৃতি না দিয়ে সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে।পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। 

নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে হয় কারাগারে না হয় বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭শ’র বেশি মানুষকে।অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। 

এ পর্যন্ত সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন।