ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, আদালত তাকে খালাস দেননি, জামিনও পাননি।

 খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছেন। যা এক দফা বাড়ানো হয়েছে, আরও এক দফা বাড়ানোর জন্য তারা আবেদন করেছেন, এটিও প্রক্রিয়াধীন আছে। 

কিন্তু খালেদা জিয়ার এত বিদেশপ্রীতি কেন? তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেই নিয়ে যেতে হবে কেন? চিকিৎসা তো বাংলাদেশেও আছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, হাঁটু বা কোমরের ব্যথা নিয়েও রাজনীতি না করতে বিএনপিকে অনুরোধ জানান তিনি।মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ২০ বছরের পুরোনো। 

সেই সমস্যা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন। একই সমস্যাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখানো সমীচীন নয়।বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রাশেদ হাসান ও আঁখি মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজান উল আলম, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রমুখ।তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি একদিকে বিশেষ বিবেচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা ও করুণা চাচ্ছে, অন্যদিকে কথায় কথায় বলছে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী কারও করুণা নিয়ে বাঁচতে চান না। 

এটা দ্বিচারিতা।বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যত বেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যত বেশি তরুণ ও যুবক সম্পৃক্ত হবেন- তাদের মননশীলতার তত বেশি বিকাশ হবে।