বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক পথ আছে। রাজপথে আন্দোলনে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবেন। 

আন্দোলন সে পথে গেলে কী হবে, তাও ভাবতে হবে।শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

লেখক মুশতাক আহমেদ ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মোজাক্কিরের মৃত্যুর প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।গয়েশ্বর বলেন, এ দেশের নিরস্ত্র জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করেছিল। অস্ত্র ও পোশাকের ভয় দেখিয়ে কখনোই সত্য আড়াল করা যাবে না। 

প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফিরে আসতে দিন। গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে স্বৈরতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসন ও পুলিশ জনগণের সেবা বাদ দিয়ে লাঠিচার্জ করছে। 

এমনটা চলতে থাকলে জনগণ লাঠি কেড়ে নিতে বাধ্য হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দিল্লির শৃঙ্খলে আবদ্ধ। সবাই মিলে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। 

এ স্বাধীনতা ভোগ করতে চাইলে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এক কাতারে আসতে হবে।স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকারের আমলে শত শত সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্টকে জেলে যেতে হচ্ছে। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেন ভালো কথা, ডিজিটাল আইনটা কিসের? ডিজিটাল আইনে আমাদের জেলে যেতে হবে, আমরা কোনো কথাই বলতে পারব না- এভাবে চলতে পারে না।সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।