চীন বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর জাতীয় আয়োজন ‘মুজিব চিরন্তন’। 

এ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় ওই কথা বলেন শি জিনপিং।এসময় শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংস্কার কার্যক্রম ও উন্নয়নে এগিয়ে চলেছে। দ্রুত প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের উন্নতিতে চীন উচ্ছ্বসিত।শি জিনপিং বলেন, পঞ্চাশ বছর আগে শেখ মুজিবুর রহমানই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি তার দেশ ও জনগণের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। 

বাংলাদেশের জনগণ তাকে গভীর ভালোবাসায় এখনও স্মরণ করে। এছাড়া চীনের জনগণের পুরনো এবং ভালো বন্ধু ছিলেন তিনি।চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর করেছিলেন। চেয়ারম্যান মাও সে তুং ও প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাই-এর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।তিনি বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সেতুবন্ধন রচনায় যারা অবদান রেখেছেন, তাদের সবসময় স্মরণ করা উচিত এবং এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ঢাকা সফরে আসা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ।১০ দিনের ‘মুজিব চিরন্তন’ উদ্বোধনী আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুরকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানা, মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদ এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। এ দিন শি জিনপিংয়ের পাশাপাশি ভিডিও বার্তা দেন কানডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউসিহিদি সুগা। অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালির শুভেচ্ছা বক্তব্যও প্রচার করা হয়।