প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ আমন্ত্রণ। একইসঙ্গে আরও ৩৯ বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।আগামী ২২ এপ্রিল থেকে দুই দিনের ভার্চুয়াল সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। 

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় চলতি শতাব্দীতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি হয়। ২০২০ সালে চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওই চুক্তিতে ফেরে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ফেরা স্মরণীয় করতেই এ সম্মেলন আয়োজন।২২ এপ্রিল ধরিত্রী দিবসের দিনেই শুরু হবে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন। 

বিশ্ববাসীর দেখার জন্য সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে যাওয়ার পথে একটি প্রধান মাইলফলক হবে। হোয়াইট হাউস জানায়, এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বণ নিঃসরণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করবে।সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতো ক্ষমতাধর নেতারা। 

আমন্ত্রিত নেতাদের দেশগুলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কীভাবে অবদান রাখতে পারে, তার রূপরেখা দেওয়ার সুযোগ হিসেবে সম্মেলনটিকে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এর জন্য দায়ী মূলত শিল্পোন্নত দেশগুলো, যাদের দূষণের ফলে বেশিরভাগ দুর্যোগ হয়। এ কারণে সম্মেলনে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

একদিকে সংকট মোকাবিলায় সফলভাবে এগিয়ে যাওয়া দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তাদের ব্যবস্থাপনা কৌশল তুলে ধরতে পারবে। অন্যদিকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দায়ী দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণে বাধ্য করাসহ দূষণ রোধে চাপ প্রয়োগ করতে পারে।বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারী, বিশেষ করে এ সংকটে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা আরও কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া ভার্চুয়ালি এ সম্মেলনে ব্যবসায়িক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানায় হোয়াইট হাউস।