ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কখনো সত্য শুনতে চায় না। তাই ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশ করায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্তকর অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। 

স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারেন না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন।৭ মার্চের আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যাচার করেছেন'- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেননি, বরং জাতির সামনে ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য তুলে ধরেছেন।জিয়াউর রহমান ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না'- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যকে অসত্য প্রলাপ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, 'তার এই বক্তব্য স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। 

এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। জিয়াউর রহমান দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক।নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কোম্পানিগঞ্জে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।কোম্পানিগঞ্জের ঘটনায় নিহত আলাউদ্দিন ও এর আগের ঘটনায় সাংবাদিক মোজাক্কিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রাণঘাতী সংঘর্ষে একজন দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী। 

ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের আইজিপি, র‌্যাবের ডিজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।সেতুমন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারও অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না। 

এ দুঃখজনক ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।তিনি আরও বলেন, 'বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। তাই আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।' পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোম্পানীগঞ্জের জনগণকে ধৈর্য্য ধারণ ও সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।