'তুমি আছো তুমি নেই'। রোমান্টিক গল্পের ছবি এটি।  আমার ক্যারিয়ারের যতগুলো সিনেমা বানিয়েছি তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভালো ও ব্যবসাসফল ছবি হবে বলে আমি মনে করি। আর হতে পারে এটিই আমার শেষ সিনেমা।''তুমি আছো তুমি নেই' ছবিটির শুরুর আগে গণমাধ্যমে এমন বক্তব্যই  দিয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার নামকরা পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু । 

অথচ ছবিটির পোস্টার ও ট্রেলার প্রকাশের পর পরিচালকের কথা-কাজে মিল পাওয়া গেলো না।আগামী ১২ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে  ‘তুমি আছো তুমি নেই’ । মুক্তি উপলক্ষে সম্প্রতি সিনেমাটির পোস্টার এবং ট্রেলার প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রেলার দেখে হতাশ হয়েছেন দর্শকরা। 

জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে ট্রেলার প্রকাশের ২৩ ঘন্টার মধ্যে কমেন্টবক্সে তেমন কোনো ইতিবাচক কমেন্ট আসেনি। সেখানে দর্শকরা পরিচালকের সমালোচনায় মুখর । এক ব্যক্তি কমেন্ট করেছেন, তোমাদের লজ্জা থাকা দরকার। এইসব বস্তা পঁচা মুভি বানিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছো।আরেকজন লিখেছেন, এইটা কোনো মুভির ট্রেলার! মাননীয় পরিচালক  আমার এমবি ফেরত চাই।একজন লিখেছেন, ৯০ দশকের যাত্রাপালা এর থেকেও বেটার ছিল। 

ধিক্কার জানাই তাদের যারা বাংলা চলচিত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ছিহ...।ছবিটি নিয়ে সবচেয়ে হতাশ করেছেন দীঘিও। শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা দীঘিকে নিয়ে যতটা আশা করা হয়েছিলো ট্রেলার দেখে ততটাই দীঘির উপর হতাশ হয়েছেন দর্শক।ঢাকাই সিনেমার নামকরা পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। 

একথা নিঃসন্দেহে সত্য অনেক হিট ও ব্যবসা সফল ছবির নির্মাতা তিনি। এই ঝন্টু নির্মাণ করেছেন তুমি আছো তুমি নেই ছবিটি। যেখানে প্রথমবার নায়িকা হয়ে আসছেন দীঘি। ছবিটি নিয়ে তাই সবার প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিলো।ট্রেলার দেখার পর পরিচালককে নিয়ে অনেকে মন্তব্য করেছেন- সিনেমা ইন্টাস্ট্রিতে অনেক ভালো ছবি উপহার দিয়েছেন ঝন্টু সাহেব। 

এবার তার অবসর নেয়া উচিত। আর দীঘির বেলায় বলছেন, দীঘি এমন একটি ছবিতে কিভাবে অভিনয় করলো?শুরুতে ছবিটর নায়ক নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। প্রথম বাপ্পি ছবিটি থেকে সরে গেলে নায়ক হিসেবে আসেন সায়মন। 

তিনিও ছবিটি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। ফলে বাপ্পি ও সায়মনকে পরিচালক ও ছবিটির প্রযোজক ঝন্টু ও সিমির অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে। পরে ছবিটির নায়ক হিসেবে নেওয়া হয় আসিফ ইমরোজকে।