প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার সমস্যা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন।সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সমস্যা থাকতেই পারে। আমরা মনে করি, এ সমস্যা আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় তার প্রশংসা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

জয়শঙ্কর বলেন, 'এটি একটি বিশাল অর্জন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভূতপূর্ব।জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগদানের লক্ষ্যে ঢাকা সফর নিয়ে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উৎসব উদযাপনে যোগদান ভারতের জন্য একটি বিরাট সম্মানের বিষয়।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, 'এ মহামারির কারণে এতদাঞ্চলের আমরা সবাই সঙ্কটের মুখোমুখি।' তিনি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর টিকা সহায়তার জন্য ভারতের প্রশংসা করেন। 

গত মাস থেকে বাংলাদেশে টিকা প্রদান শুরু করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা জানান, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং তার দলের নেতা-কর্মীসহ সরকারি সংস্থাগুলোর মহামারি মোকাবিলায় সফলভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।তিনি বলেন, 'সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯ মহামারি, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।'প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি গোয়েন্দা বিভাগের সিক্রেট ডকুমেন্টের ৭টি ভলিউম ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপহার দেন। 

ভারতের মন্ত্রী তার বাবা ভারতের সিভিল সার্ভেন্ট কে সুব্রামনিয়াম লিখিত 'লিবারেশন ওয়ার অব বাংলাদেশ'সহ দুটি বই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে সংক্ষিপ্ত সরকারি সফরে ঢাকা আসেন। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে তিনি এ সফরে আসেন।সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।