লেখক মুশতাক আহমেদের মত্যুর প্রতিবাদে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মশাল মিছিলে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। শনিবার সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান ফেডারশেনের নেতারা। 

সমাবেশ থেকে ‘জনগণের পক্ষ থেকে’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ঘোষণা করে সংগঠনটি। আইনটিকে ‘কণ্ঠরোধকারী ও নিবর্তনমূলক’ বলে আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনটির প্রতি ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ প্রদর্শন করেন । ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ড, ঢাবি শাখার সাংগঠনকি সম্পাদক সজীব হোসেন, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সৈকত আরিফ, খুলনা জেলা শাখার আহ্বায়ক আল আমিনসহ প্রমুখ নেতা। 

জাহিদ সুজন বলেন, শুক্রবার পুলিশের হামলায় বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সাতজনের নামে নয়টি অভিযোগ করেছে পুলিশ। 

এটি কণ্ঠরোধের চেষ্টা ও সংবিধান লঙ্ঘন। এসময় তিনি সন্ধ্যার মধ্যে আটকদের না ছাড়া হলে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য শাহবাগ থানার পুলিশ দায়ী থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।সভাপতির বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে আগামী এক মাস সারা দেশে সব প্রগতিশীল সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব। 

ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে আমরা বিক্ষোভ করব। এই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।সমাবেশ থেকে সব প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে ও সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। 

মিছিলটি শাহবাগ অভিমুখে গেলে পুলিশ জাতীয় গ্রন্তাগারের সামনে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা শেষে পুলিশ তাদের পথ ছেড়ে দিলে ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা শাহবাগ ঘুরে পুনরায় টিএসসিতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করতে গেলে শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। 

এতে বাম সংগঠনগুলোর ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত এবং সাতজনকে আটকের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের এই হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকালে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেয় ছাত্র ফেডারেশন।