বিএনপি নেতাদের মধ্যে প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। টিকা নিয়ে দলটির অনেক নেতা সংশয় প্রকাশ করলেও টিকা নিয়ে তিনি বলেছেন ভালো বোধ করছেন।ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, মেন্টালি বেটার ফিল করছি। টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না তা বলতে পারছি না। 

তবে আই এম ফিলিং বেটার। নিজে টিকা নেওয়ার পর অন্য সবাইকেও টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ নেন ৬৫ বছর বয়সী আইনজীবী ও বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন।বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। 

সবাইকে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। এই টিকা নিরাপদ এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।তবে বিএনপি নেতাদের অনেকে বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে টিকা আনার সমালোচনা করেছেন। টিকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে 'গিনিপিগ' বানানো হবে কি না, সেই সন্দেহর কথাও বলেছিলেন কেউ কেউ।এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলছেন, কোভিড-১৯ সারা বিশ্বময় মহামারী। 

প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেওয়ার প্রয়োজন। তাই টিকা নিয়েছি। বাংলাদেশেতো একটা অপশন, আর অপশন নেই।অন্য বিএনপি নেতাদের মত খোকনও বলেন, টিকা নিরাপদ কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য, জনগণকে আশ্বস্থ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানরা টিকা নিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী প্রথম টিকা নিলে জনগণ আশ্বস্থ হতো। তারা মনে করতো- এই টিকা নিরাপদ। 

সেখানে একজন নার্স দিয়ে শুরু করেছেন। আমার মনে হয়- জনগণের আস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিলে ভালো হতো।বিএনপির যারা দ্বিমত পোষণ করে আসছেন, টিকার বিষয়ে তাদের প্রতি কী বার্তা দেবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দ্বিমত কে করছেন? কেউ দ্বিমত করছেন না।