মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশপাশি নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়েও সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে।সোমবার দপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘বিজিবি সীমান্তে সর্তক অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, কতৃপক্ষের  আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তিনি আরো বলেন, ‘মিয়ানমার সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়টি তাদের দেশের নিজেদের ব্যাপার। 

সেটার সঙ্গে সীমান্তের এই মুহূর্তে সর্ম্পক নেই। এ ব্যাপারটা বিজিবি সদর দপ্তর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।  রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর চালানো নিপীড়নে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাড়ি জমায়। এসব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দেন দরবার চলছে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের ঘটনায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালান প্রতিরোধেও কাজ করছে বিজিবি।কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহদে বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। 

কেউ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন। এ ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পাপাশি সীমান্ত দিয়ে ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালান প্রতিরোধেও কাজ করছে বিজিবি।টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নেতা মোস্তফা কামাল জানান, ‘সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে পরিস্থিতি থমথম বিরাজ করছে, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। 

তাছাড়া সেদেশের পরিস্থিতি অশান্ত থাকলে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়া বিষয়টি দিন দিন কঠিন হয়ে পরবে। সম্প্রতি সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দুই দেশ সম্মতি জানিয়েছিল। কিন্তু সেটি এখন হয়তো আবার পেছাবে।