সরকারের ইচ্ছা পূরণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, এই ইসি অনিয়ম, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত। 

দুর্নীতি ও চাকরি রক্ষা করতে গিয়ে সরকারকে খুশি করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। দেশব্যাপী ভোট সন্ত্রাসের বৈধতা দিতে গিয়ে কমিশন বিভিন্নভাবে আইন ও বিধিবিধানের লঙ্ঘন করে চলেছে।শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের এ বক্তব্য তুলে ধরেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, রোববার যেসব পৌরসভায় নির্বাচন হবে, সেগুলোতে ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রশক্তির গুন্ডামির বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা কারণে মামলা দিচ্ছে এবং পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করছে।সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহের ফুলপুর, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, যশোরসহ বিভিন্ন পৌরসভায় বিএনপিদলীয় প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়া, নেতাকর্মীদের অবরোধ করে রাখা, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, বিরোধী প্রার্থীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করে হয়রানি ও গ্রেপ্তারের নানা ঘটনা তুলে ধরেন।ইসির ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, সুষ্ঠু ভোট এবং ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারটা ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সাহেব। 

ইসির দুর্নীতি নিয়ে ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কমিশন যে অপরাধ করেছে, তা অবশ্যই অভিশংসনযোগ্য অপরাধ।সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মামুন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।