আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় ও সংঘর্ষ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। এতে নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাটরাশির হাটবাজার এলাকায় দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে । 

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত নয়জনের মধ্যে সাতজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক আবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (৩০) ও কামাল উদ্দিন (৬০)।নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালান। 

এতে উভয়পক্ষের মধ্যে  ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে কাদের মির্জা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। 

এতে নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত লোক আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন, রোবহান উদ্দিন মুজাক্কির, কামাল উদ্দিন, ফরহাদ, শামীম, সাহিন, বাবুল, দেলোয়ার, বেল্লাল ও মাস্টার।নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কাদের মির্জার সঙ্গে মিজানুর রহমান বাদলের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়েছে। 

এতে বেশকিছু লোক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থলে অর্ধশত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক মাস ধরে কাদের মির্জা প্রধানমন্ত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী ও ফেনীর সংসদ সদস্যসহ সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এর প্রতিবাদে শনিবার কোম্পানীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। 

এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে চাপরাশিরহাটে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম সভা করার সময় কাদের মির্জা সাত থেকে আটটি গাড়ি ও অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা ও গুলি করেন।এ ব্যাপারে কাদের মির্জার মোবাইলে কল করলে তার সহকারী নাছির উদ্দিন রিসিভ করে বলেন, মেয়র ব্যস্ত আছেন। হামলার জন্য তিনি মিজানুর রহমান বাদলকে দায়ী করছেন।