সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৭৫২ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ২২ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে। 

এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫২৫ জন। এদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৭৩৩ জনের। 

পাশাপাশি টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন ৪৩ লাখ ১১ হাজার ৭০৮ জন।রবিবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৭৫২ জন। 

এদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ হাজার ১৫৫ জন এবং নারী ৫০ হাজার ৫৯৭ জন।বিজ্ঞতিতে আরও বলা হয়, টিকা গ্রহীতার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৫ হাজার ৯৪৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ হাজার ১২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ হাজার ৭৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ৮৭৯ জন, রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ২৫৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ হাজার ৪৫৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩২১ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ৩২ জন রয়েছেন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। 

প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।করোনার টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। 

এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। 

রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।