ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে সকালেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। 

এরপর দলের সেরা ভরসা মুশফিকুর রহিমও ফিরে যান। পরে লিটন-মিরাজের জুটিও ভাঙেন বিগ ম্যান কর্নওয়াল। তার ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আবু জায়েদ ১ রানে আউট হয়েছেন। তাইজুল ইসলাম ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। 

এর আগে লিটন দাস ৭১ রানের ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে থাকা মেহেদি মিরাজ ৫৭ রানে আউট হন। তাদের জুটি থেকে আসে ১২৬ রান। ওই জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছোঁয়ার আশা দেখাচ্ছিল।এর আগে দ্বিতীয়দিন ১০৫ রান তুলে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ৪৪ রান করেন তামিম ইকবাল।  

মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান। শনিবার টেস্টের তৃতীয়দিন মোহাম্মদ মিঠুন সকালে ১৫ রান করে আউট হন।  মুশফিকুর ৫৪ রান করে কর্নওয়ালের স্পিনে ফেরেন।বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

ক্যারিবীয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জসুয়া ডি সিলভা। তাইজুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে আলজারি জোসেপের সঙ্গে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।এছাড়া পেসার জোসেপ ৮২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন। তার আগে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন এনক্রুমাহ বোনার। 

তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন মেহেদি মিরাজ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯৯তম উইকেট। জসুয়ার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি হয় বোনারের।ওয়েস্ট ইন্ডিজ বড় রান হওয়ার পেছনে অবদান রাখেন দুই ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েট ও জোহান ক্যাম্পবেল। 

তারা শুরুতে ৬৬ রান যোগ করেন। অধিনায়ক ব্রেথওয়েট ৪৭ ও ক্যাম্পবেল করেন ৩৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে চারটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ ও তাইজুল ইসলাম। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন কর্নওয়াল। শ্যানন গ্যাব্রিয়েল নেন তিন উইকেট।