আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আল জাজিরা টেলিভিশনের বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের নেপথ্যে দেশ-বিদেশে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। অতীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হয়েছিল, যা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। 

আল জাজিরার আজগুবি রিপোর্টও মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে।শুক্রবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নেতিবাচক রাজনীতির জন্যই আন্দোলন ও নির্বাচনে বিএনপি বারবার পরাজিত। অন্যদিকে শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়নে জনগণ খুশি। 

এটাই বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ।তিনি বলেন, সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনগুলোতে বিএনপির পরাজয় হয়েছে তাদের অপরাজনীতির জন্যই। সামনের নির্বাচনগুলোতেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে নিজেদের রক্ষা করার জন্য অপপ্রচারে নেমেছে তারা। বিএনপি এখন দেশ-বিদেশে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে। কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য বিএনপি নেতারা হাঁকডাক দিচ্ছেন। 

কিন্তু তাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। টেমস নদীর ওপার থেকে আসা আন্দোলনের ডাকে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় জোয়ার আসবে না।সরকারের পদত্যাগের জন্য বিএনপি নেতাদের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত এক যুগ ধরে তাদের এ দাবি শুনছি। কিন্তু তাদের আন্দোলন এখন জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। 

সরকারের পদত্যাগ নয়, বরং বিএনপির মতো দলকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য তাদের ‘টপ টু বটম’ নেতাদেরই পদত্যাগ করা উচিত।তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল দেশে বিদেশে সরকার ও আওয়ামী লীগের ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দল। এ দলের শিকড় দেশের মাটির অনেক গভীরে প্রোথিত। 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যে ফাঁটল ধরানোর কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।গত ১১ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা মেয়রের গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, সিএমপি কমিশনার ও ফেনীর পুলিশ সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। 

সংশ্নিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তদন্ত করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।অতি সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে ডাকা বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। 

দলীয় কার্যালয়ে কোনো নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ডাকার দৃষ্টান্ত নেই। কাউকে সাংগঠনিক প্রয়োজন হলে অফিস থেকে এসএমএস অথবা ফোন করে ডাকা হয়। 

আওয়ামী লীগের যেসব শাখায় সাংগঠনিক সংকট রয়েছে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর অনুষ্ঠেয় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সেসব শাখার সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।