জনপ্রিয় নায়ক মান্নার আজ ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক। 

১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মান্নার। তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘তওবা’ (১৯৮৪)। 

এরপর একে একে প্রায় সাড়ে তিনশ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। মান্না অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘পাগলি’। 

১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে কাজ করেন তিনি। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পাওয়ার পর মান্নাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।অ্যাকশন হিরো হিসেবে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া মান্না রোমান্টিক ধাঁচের ছবিতেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন বারবার। 

এরপর খ্যাতিমান নির্মাতা কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ ছবির মাধ্যমে একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। 

পর্যায়ক্রমে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘অন্ধ প্রেম’, মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দেশদ্রোহী’ ছবিগুলোর মাধ্যমে দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় তারকাতে পরিণত হন। 

১৯৯৯ সালে ‘কে আমার বাবা’, ‘আম্মাজান’, ‘লাল বাদশা’র মতো সুপারহিট ছবিতে কাজ করেন তিনি। ‘আম্মাজান’ ছবিতে মান্নার অনবদ্য অভিনয় মন্ত্রমুগ্ধ করে দর্শক-সমালোচকদের। 

এই ছবিটিকে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে ধরা হয়। প্রযোজক হিসেবেও মান্না বেশ সফল ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে যত ছবি প্রযোজনা করেছেন, প্রতিটি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছিল। 

ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’, ও ‘পিতা-মাতার আমানত’। 

মৃত্যুর এক যুগের বেশি সময় পার হলেও এখনো ব্যাপক জনপ্রিয় ‘দাঙ্গা’খ্যাত এই নায়ক। তার অভিনীত ছবির সামনে আজও মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায় ভক্ত-অনুরাগীদের। 

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। তার আসল নাম এস এম আসলাম তালুকদার।