সংবাদ কনটেন্ট থেকে আয়ের ভাগাভাগিতে দ্বন্দ্ব নিরসনে দৃশ্যত অবস্থান নমনীয় করেছে ফেসবুক, ফিরে এসেছে আলোচনার টেবিলে। 

সারাবিশ্বের গণমাধ্যম বিষয়টিতে গভীর নজর রাখছে। আশা করা হচ্ছে, গণমাধ্যমের সঙ্গে আয় ভাগাভাগি করতে সম্মত হবে ফেসবুক।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন শনিবার বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে ফেসবুক আয় ভাগাভাগি নিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সিডনিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ফেসবুক আপাতত বন্ধুত্ব নিয়ে এসেছে। আমি আনন্দিত যে তারা আলোচনায় আগ্রহী হয়েছে।গণমাধ্যমের কনটেন্ট থেকে গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক যে আয় করছে, তা সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে ভাগাভাগি বাধ্যতামূলক করে বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আইন পাস করে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

 আইনটি গুগল মেনে নিলেও ফেসবুক প্রকাশকদের অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়। আইনটি পাসের পর আয় ভাগাভাগি না করতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর দেখা ও শেয়ারের সুযোগ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক। 

এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার জনসাধারণ থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিক্ষুব্ধ মরিসন একে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও স্বৈরাচারী আচরণ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরিতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন দেন।অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহারকারীদের খবর দেখা ও শেয়ারের সুবিধা বন্ধ করায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অস্ট্রেলিয়া ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ফেসবুকের সমালোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করে। 

এছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান জুলিয়ান নাইট ফেসবুকের এ সেন্সরশিপকে হুমকি আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ফেসবুক সবাইকে এমন একটি বার্তা দিল যে কেউ তার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করতে চাইলে তাকেই অপসারণ করা হবে।জার্মানির বিডিজেডভি নিউজ পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বলেন, সারাবিশ্বের সরকারগুলোর একযোগে এসব ইন্টারনেট কোম্পানির দৌরাত্ম্যে লাগাম টানার এখনই উপযুক্ত সময়। 

গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রকাশনা সংস্থা জানিয়েছে, এটি নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। এর ন্যায্য সমাধান জরুরি।