বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুই বছরের কারাদণ্ডের রায়কে 'নজিরবিহীন' উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই রায় বর্তমান সরকারপ্রধানের ইচ্ছারই প্রতিফলন।বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুরুচি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নড়াইলে হওয়া মানহানির এক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।এই রায়ের পর দেওয়া বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের নানা অপকীর্তির কারণে বর্তমানে দেশে-বিদেশে তাদের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট। 

এই কারণে সরকার বেপরোয়া ও উম্মাদ হয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতে একতরফা বিচারিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে সাজার রায় হয়েছে।দেশে-বিদেশে সরকারের 'অপশাসন-কুশাসনের প্রচার তড়িঘড়ি করে আড়াল করার জন্য' তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের নির্দেশে সাজানো মামলায় নড়াইলের আদালত ফরমায়েশি যে রায় দিয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

সত্য উচ্চারণের কারণে মানহানির মামলায় এ ধরনের রায় নজীরবিহীন ঘটনা। এই ঘটনায় পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, আইন-আদালত সরকারের হাতের মুঠোয়।মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রায় দেওয়া হয়েছে। 

এই রায় কুটিল মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কণ্ঠরোধ করা হয়েছে গণমাধ্যমের। কেউ সত্য উচ্চারণ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার খড়্গ। এই মামলাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারের ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়নে শুধু গণমাধ্যম নয়, গোটা জাতি এখন সেন্সরশিপে ভুগছে। 

এর মধ্যে সরকারের কিছু অপকর্ম বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সেটির উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে বরং তারেক রহমানকে সামনে আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে।তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় প্রত্যাখ্যান করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই রায় প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।