অভিনেত্রীর দাবি, আমার টুইটার অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালানোর অধিকার তাদের কে দিয়েছে! ঘটনার সূত্রপাত, টুইটারের সতর্কবাণী। এক সপ্তাহ ধরে ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক তারকা বনাম ভারতীয় তারকাদের টুইট-যুদ্ধ লেগে রয়েছে। 

সেই পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গনার দু’টি টুইট সরিয়ে ফেলে টুইটার কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে টুইটার জানিয়েছিল, কঙ্গনা তার টুইটে ওই সংস্থার বিধিভঙ্গ করেছেন। কী টুইট করেছিলেন কঙ্গনা, তা জানা যায়নি। কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইটারের কেবল দু’টি নোটিশ নজরে এসেছিল। 

বুধবার ফের একটি নোটিশ পোস্ট করে টুইটার।লেখা, কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা উঠেছিল। 

বিশেষ করে যেগুলিতে সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিকদের নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্ত সেটা করা হয়নি। তাও আমরা স্থির করেছি ভারতীয় আইনের আওতায় এ বার থেকে অ্যাকাউন্টগুলিতে নজরদারি চালাব। সেটিকে শেয়ার করে কঙ্গনা দু’টি পোস্ট করেছেন। 

তার বক্তব্য, কে তোমাদের দেশের বিচারপতি বানিয়েছে? তোমরা ঠিক এক জোট হয়ে মানুষকে অপমান করবে। যেন সংসদের অনির্বাচিত সদস্য। তোমরা এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী সাজারও চেষ্টা করো। কে তোমরা শুনি? এক দল নেশারু তোমরা! 

আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করো? ফের একটি টুইট করে হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, তোমাদের দিন শেষ টুইটার। এ বার থেকে কুঅ্যাপ ব্যবহার করবে সবাই। আমি আমার অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য সকলকে দিয়ে দেব। দেশের জিনিস ব্যবহার করতে খুব উত্তেজিত তিনি। 

এ ছাড়া মঙ্গলবার থেকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের দু’টি পোস্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে চর্চা শুরু। একটিতে বিশ্বখ্যাত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপেমর সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন। 

আর একটিতে টম ক্রুজের সঙ্গে। ‘কেবল মেরিল স্ট্রিপ নয়, টম ক্রুজের চাইতেও দক্ষ আমি’, লিখেছেন আত্ম প্রচারে মগ্ন কঙ্গনা! 

কঙ্গনার একের পর এক টুইটে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন চলচ্চিত্রপ্রেমী নেটাগরিকরা।