ভোলায় করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই ২৪৭ জন টিকা নিয়েছেন। উদ্বোধনী দিনে জেলায় করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন ৩২৭ জন। প্রাথমিকভাবে ১৬ টি বুথের মাধ্যমে এই টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।রবিবার ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদারকে টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রোখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো: কায়সার, জেলা সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: সিরাজউদ্দিন প্রমুখ। একইসাথে জেলার অন্য ৬ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভ্যকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়।ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, জেলায় প্রথম ধাপে ৬০ হাজার  ডোজ ভ্যকসিন এসেছে। 

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ডোজ, চরফ্যাশনে ১২ হাজার, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, দৌলতখান উপজেলায় ৯ হাজার ডোজ করে ২৭ হাজার ও তজুমদ্দিন ও মনপুরায় ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার ডোজ ভ্যকসিন দেয়া হবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, আমরা করোনার ভ্যকসিন দিতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি। কারণ বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অল্পকিছু দেশে এ ভ্যকসিন দেয়া হচ্ছে। 

এ ভ্যকসিনটি সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ভ্যকসিন। এটি অত্যান্ত নিরাপদ। এ পর্যন্ত দেশে যারাই এটি গ্রহণ করেছেন তাদের অসুবিধা দেখা দেয়নি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান জেলা প্রশাসক।জেলার প্রথম করোনার ভ্যকসিন গ্রহণকারী ভোলার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত ভ্যকসিন গ্রহণ করতে পেরে। করোনার থেকে সুরক্ষার জন্য ভ্যকসিন একটি ওষুধ। 

এছাড়াও তার স্ত্রী মিনারা মজুমদারও তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। অপর ভ্যাকসিন নেয়া প্রফেসার ডা: খাদিজা বেগম বলেন, এখন আর করোনার আতংকে থাকতে হবে না। নিজেকে নিরাপদ মনে হচ্ছে। তিনি সুস্থ ও ভালো আছেন বলেও জানান।