সু চির মুক্তি দাবিতে মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে সড়কে গাড়ি রেখে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।স্থানীয় সময় বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। 

সু চির বিরুদ্ধে সামরিক জান্তার আনা নতুন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এমন কর্মসূচি আন্দোলনের নতুন কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যেতে বাধা দেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই এমন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।অনলাইনে অনেকেই ‘রোড ব্লকিং ডে’ উপলক্ষে ছবিসহ নানা পোস্ট দিয়েছেন। 

একটি পাবলিক বাস থামিয়ে যাত্রীসহ অন্যান্যদের বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন আন্দোলনকারীরা। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন চিকিৎসক ও শিক্ষকদের মতো বিভিন্ন পেশার মানুষও।মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। 

পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন।এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। 

তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।গত পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। 

তবে ওইদিন ভোরে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী।সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে সাধারণ মানুষ।

 কিছু এলাকায় বলপ্রয়োগ করেছে কর্তৃপক্ষ।এরই মধ্যে সু চির রিমান্ডের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন অভিযোগ এনে আটকে রাখা হয়েছে তাকে। 

মঙ্গলবার সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে সামরিক জান্তা।