কাফনের কাপড় পাঠিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও রিপোর্টার কাজী ফরিদকে হত্যার হুমকিদাতাদের আইনের আওতায় আনার জন্য সাংবাদিক নেতারা সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাওরানবাজারের সার্ক ফোয়ারার মোড়ে সাধারণ সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এ আল্টিমেটাম দেন। এসময় বক্তারা বলেন, ‘হুমকিদাতাদের যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসা হয় তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘আজকে আমাদের সহকর্মী সাইফুল ইসলাম ও কাজী ফরিদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। 

এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা যেমন তাদের পরিবারে ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। আমরা এই মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে সাংবাদিকতা করতে আসিনি।তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা দেখি সেই ঘোড়াঘাট থেকে শুরু করে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত দুর্বৃত্ত চক্র সাংবাদিকদের কণ্ঠ বন্ধ করতে চায়। রাজধানীতেও তারা তাদের অভয়ারন্য তৈরি করেছে। 

গাজীপুর থেকে চিঠির মাধ্যমে মৃত্যু পরোয়ানার চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, আমরা এর ধিক্কার জানাই।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ সমাবেশে বলেন, ‘রাজাকার, খুনি-সন্ত্রাসীদের তালিকা হয়। 

এখন গণমাধ্যমের শত্রুদের তালিকা হওয়া দরকার। মানুষ জানুক কারা স্বাধীন গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, কারা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বন্ধ করতে চায়। তাদের নাম গুলো জানুক।যারা বৈশাখী টিভির সাইফুল আলম ও কাজী ফরিদকে যারা কাফনের কাপড় পাঠিয়েছে তাদের ব্যাপারে যদি দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আমরা আবার কর্মসূচি দেব। 

আমরা বিচারের জন্য এখানেই কিন্তু থেমে থাকবো না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ক্র্যাবের সহ-সভাপতি নিত্য গোপাল তুতু, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের চীফ রিপোর্টার দীপু সারওয়ার, ৭১ টেলিভিশনের রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন প্রমুখ