আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন। আল-জাজিরার সম্প্রচার, আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নিতে পারতাম। 

অন্যান্য দেশে যেভাবে টিভি চ্যানেল বন্ধ করা হয়, আমাদের দেশেও চাইলে সেভাবে বন্ধ করতে পারতাম। আমরা বন্ধ করিনি। কারণ, আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। 

কিন্তু অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলেও সব গণমাধ্যমের নিজস্ব একটি দায়িত্ব থাকে। আল-জাজিরা এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আল-জাজিরার রিপোর্ট যেটি করা হয়েছে আপনারা দেখেছেন, সেটির শিরোনামের সঙ্গে রিপোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। 

শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘অল আর দ্যা প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’। ভেতরের প্রতিবেদন হচ্ছে সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনটি দেখেশুনে মনে হয়েছে এটি ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা একটি রিপোর্ট। 

এই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা রিপোর্ট, আল-জাজিরার মতো একটা টেলিভিশনে যখন হয় সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আল-জাজিরার গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু কমেছে। 

বিশ্বব্যাপী আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।তিনি বলেন, ‘তাদের নিরপেক্ষতা-বস্তুনিষ্ঠটা, একইসঙ্গে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

এ প্রশ্ন যে আজ উঠেছে তা নয়, এ প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। বহু দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। এমনকি ভারতেও বন্ধ। এখনো অনেক দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে। 

আল-জাজিরার জন্য আমার খুব কষ্ট, এই রিপোর্ট দেওয়ার পর তারা বাংলাদেশে প্রচণ্ড পরিমাণ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। 

তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রচণ্ডভাবে লোপ পেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। 

তবে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি হাইকোর্টে যায় বা আদালতে যায় সেক্ষেত্রে আদালত থেকে যদি কোনো নির্দেশনা পাই, তাহলে আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই আমরা পালন করব।