কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করা হয়েছে ঢাকার আদালতে।বুধবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন।বুধবার এই আবেদনটি করা হলে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে গেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। 

এক্ষেত্রে তা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, আদালত নিজ ক্ষমতা বলে এই অনুমোদন বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।বাদী পক্ষের আরেক আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হীরণ বলেন, মামলা আমলে নেওয়ার জন্য অবশ্যই অনুমোদনের প্রয়োজন হবে এবং আদালত তা নিজ ক্ষমতাবলে ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।মামলার আবেদনে আসামি করা হয়েছে- আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে।মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন।  

গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন প্রচার করে এবং উক্ত প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে।আরজিতে আরও বলা হয়, আসামিরা তাদের এহেন অবৈধ ষড়যন্ত্রমূলক অবৈধ কার্যক্রমের দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, যা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ। 

যা সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশিত আসামিসহ তাদের নেপথ্যের মদদদাতা, অর্থের যোগানদাতা ও মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম ঠিকানা উদঘাটনসহ উপযুক্ত আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া একান্ত প্রয়োজন।