বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- পুরান বগুড়া হরিজন সম্প্রদায় এলাকার প্রাণনাথ, রামনাথ কাহালু এলাকার আবুল কালাম, বগুড়া সদরের ফাঁপড় এলাকার জুলফিকার আলী জুলফি, তিনমাথা এলাকার রমজান আলী, ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার আবদুল জলিল ও শাজানপুরের আল-আমিন।বিষাক্ত মদপান করে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) উপপরিচালক ডা. ওয়াদুদুর রহমান। 

এর আগে রোববার রাতে বিষাক্ত মদপানে ছয়জন মারা যান।এদিকে শহরের গোলপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে মুন হোমিও হলের মালিক ডা. আব্দুল খালেকসহ পারুল ও করতোয় হোমিও হলের তিন কর্মচারী রয়েছেন।এর আগে সকালে শহরের হোমিও ওষুধের দোকানগুলোতে অভিযান চালিয়েছল জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এ সময় অনিয়মের অভিযোগে শহরের গালাপট্টি এলাকায় দুটি হোমিও ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসিম রেজা। তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযান চলমান থাকবে।এদিকে বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রির অভিযোগে শহরের ফুলবাড়ী এলাকার দেলোয়ার হোসেন রঞ্জুর ভাই মনোয়ার হোসেন রিপন সোমবার রাতে বগুড়া সদর থানায় তিনটি হোমিও হলের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। 

এগুলো হলো শহরের ফুলবাড়ী এলাকার পারুল হোমিও হল, পুনম হোমিও ল্যাবরেটরি ও শহরতলির তিনমাথা এলাকার খান হোমিও হল।মামলায় চারজনের নামসহ আসামি করা হয়েছে ১৫-১৬ জনকে। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাত থেকেই তাদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে। মামলা করা ছাড়াও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পারুল হোমিও হল ও পুনম হোমিও ল্যাবরেটরিতে তালা দিয়েছেন।বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, যে তিনটি হোমিও ফার্মেসির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে আছে। 

এরই মধ্যে রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষাক্ত মদপানে এ পর্যন্ত হরিজন সম্প্রদায়ের তিনজনসহ জেলায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন এলাকায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।