পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এবার রাজনৈতিক সংলাপে বসছে ভারত ও চীন। ভারতের পক্ষ থেকে সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের পক্ষ থেকে নেতৃত্বে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে এই দুই বিশেষ প্রতিনিধি বিশদ আলোচনা করবেন।২০২০ সালের জুনে দোভাল এবং ওয়াং ই একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছিলেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে,  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) সম্পর্কিত বিরোধ সমাধানের জন্য আলোচনা করতে তারা একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে ইচ্ছুক।একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, প্যাংগং হ্রদ থেকে সেনা সরিয়ে চীন ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। 

দুই দেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে পারে। চীন যদি শক্তি প্রয়োগ করে তবে সংলাপের কোনো মানে হয় না। তবে দুই দেশ পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করতে পারে।গত বছরের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানের একাধিক জায়গায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে লড়াই হয়। 

সেই সংঘর্ষে দুই দেশের বহু জওয়ান হতাহত হন। দুই দেশের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষ থামলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে দুই পক্ষ থেকেই। সেই থেকে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয়।দীর্ঘ আট মাস পর সমঝোতার পর প্যাংগং হ্রদ থেকে দুই দেশ সেনা সরিয়ে নেয়। 

এরইমধ্যে শনিবার ভারত-চীন সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে লাদাখের দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিতে দাবি জানিয়েছে নয়া দিল্লি।