বাংলাদেশের সাথে নেপালের সর্বনিম্ন দূরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশের সাথে নেপালের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আশানুরূপ নয়। এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বাড়াতে চায় নেপাল। আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে আয়োজিত বৈঠক দুদেশের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিরাজমান সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশিধর মিশ্র।বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে চেম্বার ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ড. বংশিধর মিশ্র বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আশানুরূপ না হওয়ার নেপথ্যে ট্যারিফ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। 

এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। এছাড়া বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ‘অন এরাইভ্যাল ভিসা সিস্টেম’ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। অতিশীঘ্রই বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স গঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ ও নেপালের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। 

যার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ও শিল্প উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।সভায় সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটে অনেকগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। যেগুলো থেকে নেপালের ছাত্র-ছাত্রীরা কমখরচে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও সিলেট থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষি পণ্য আমদানি করতে পারেন। 

সিলেটের শিল্প মালিকগণ নেপালের রাষ্ট্রদূতকে সিলেটের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সফরের অনুরোধ জানান।সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী দূর্গা মিশ্র, নেপাল এম্বেসীর সেকেন্ড সেক্রেটারী রঞ্জন যাদব, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, এফবিসিসিআই’র পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ প্রমুখ।