যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি এবার চীনেও ঢুকে পড়েছে। যুক্তরাজ্যফেরত এক ব্যক্তির শরীরে মিলেছে ভাইরাসের এই ধরন। যে চীন থেকে প্রথম করোনা ছড়িয়েছে, সেই চীনেই এবার করোনার নতুন ধরন ছড়াল যুক্তরাজ্য।

বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) এক গবেষণা নোটে বলা হয়, করোনা নতুন ধরন শনাক্ত হওয়া ২৩ বছর বয়সী নারী সাংহাইয়ের বাসিন্দা। তিনি গত ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে চীনে ফেরেন।

সিডিসি জানায়, মৃদু লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার ফলাফলে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়।

যুক্তরাজ্য থেকে আসার কারণে ২৪ ডিসেম্বর এই নারীর করোনা নমুনার জেনেটিক সিকোয়েন্সিং করেন চীনের স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।

এএফপি বলছে, উহান ও সাংহাইয়ে এর আগে করোনার যে ধরন ছিল, তার সঙ্গে মিল নেই এবার শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের এই নতুন ধরনটির।

গত অক্টোবরে যুক্তরাজ্যে ভাইরাসের যে নতুন ধরন শনাক্ত হয়; তার সঙ্গে এটি মিলে গেছে।

সিডিসির বিবৃতিতে বলা হয়, এই রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে সঙ্গে সব ধরনের বন্ধের ঘোষণা দেয় চীন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস।

মহামারি করোনায় প্রাণ গেছে অসংখ্য মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে কয়েকটি টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কয়েকটি দেশে এর প্রয়োগও শুরু হয়েছে।

প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা নিয়ন্ত্রণেই যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে বিশ্বকে; তখন আবার নতুন করে যোগ হচ্ছে ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন।

নতুন শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের ধরন নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, করোনার আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের ছড়ানোর ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।

টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এসব টিকা করোনার নতুন ধরনকেও প্রতিহত করবে। তবে সে ব্যাপাোরে আশাবাদী হওয়ার মতো এখনও তেমন কোনও কারণ পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।