বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছন, বাংলাদেশকে নতজানু ও দুর্বল রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষকে অধিকার বঞ্চিত করছে, মানুষের নিজস্ব পরিচিতি থেকে দূরে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। এ পরিকল্পনাকে রুখে দিতে হবে।বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দলের এক ওয়েবিনারে তিনি এসব বলেন। 'জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধ্যান-ধারণা' শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম কমিটি। 

এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ।মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের অনুভূতি যতই প্রবল হবে, জাতি হিসেবে ততই আমরা শক্তিশালী হবো। তাই এখন আমাদের স্লোগান একটাই- আমরা শৃঙ্খলিত হতে চাই না, আমরা মুক্ত হতে চাই এবং মানুষকে এই অবস্থা থেকে বাঁচাতে চাই। জিয়াউর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে আমরা দেশকে বাঁচাতে চাই। আসুন, সেই লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাই।বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, একটা মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। 

কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত যে, এত বছর পরও আমরা একটা সুষ্ঠু রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ করতে পারিনি। একটা চমৎকার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। এজন্য দায়ী আজকে যারা ক্ষমতা জোর করে দখল করে আছে তারা।তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার ডাকেই মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে এসেছিল। 

পঁচাত্তরে হতাশায় নিমজ্জিত একটা জাতিকে তিনি একটা আশার আলো দেখিয়েছিলেন এবং কর্মে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। 

আজকে বাংলাদেশের ভিত্তিটা তিনি নির্মাণ করে দিয়েছেন।কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ইসমাইল জবিহউল্লাহর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ইকতেদার আহমেদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।এ ছাড়া সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সিলেট বিভাগ সমন্বয় কমিটির সভা হয় সিলেটে। 

সেখানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।