শপথ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে (ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা) প্রথা অনুযায়ী প্রথমে শপথ নেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। 

তার শপথের পর সংগীত পরিবেশন করেন জেনিফার লোপেজ। এর পরপরই আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন।ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ওয়েস্ট ফ্রন্টে এ শপথবাক্য পাঠ করান দেশটির প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।শপথ নেওয়ার জন্য এর আধা ঘণ্টা আগে বাইডেন ক্যাপিটল হিলে এসে পৌঁছান। 

এসময় তার সহধর্মিণী ড. জিল বাইডেনও সঙ্গে ছিলেন। প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী লেডি গাগার কণ্ঠে আমেরিকার জাতীয় সংগীতের পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।  পরিবারের ১২৭ বছরের পুরোনো বাইবেলের একটি কপি হাতে শপথবাক্য পাঠ করেন জো বাইডেন। এরপর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসন গ্রহণ করেন ডেমোক্র্যাট এই নেতা। 

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক উপলক্ষে দিনভর আরও নানা আয়োজন চলবে।এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের ফলাফল তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। হোয়াইট হাউজ ছেড়ে ফ্লোরিডায় চলে গেছেন ট্রাম্প।তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। 

আরও উপস্থিত ছিলেন- সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, লরা বুশ ও হিলারি ক্লিনটন। সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ জিমি কার্টার (৯৬) ও সাবেক ফার্স্ট লেডি রোজালিন কার্টার অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।ক্যাপিটল হিলের পরিবেশ এখন খুব শান্ত ও গম্ভীর। 

কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সেখানে ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা করেছেন। ক্যাপিটল হিলের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন। যাতে পাঁচজন নিহত হন।খবরে বলা হয়েছে, দিনের মধ্যভাগে বাইডেন ও হ্যারিস শপথ বাক্য পাঠ করলেন। দিনের শেষ ভাগে হোয়াইট হাউসে যাবেন তিনি। 

আগামী চার বছরের জন্য সেটাই তার বাড়ি।সাধারণত প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার আয়োজন থাকে। কিন্তু গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলার পর এবার নিরাপত্তা আয়োজন আরও জোরদার করা হয়েছে। 

ক্যাপিটল হিলের সামনের এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা দিচ্ছে ২৫ হাজার সৈন্য। অভিষেকের আগেই পুরো নগরী নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। নগরীর অনেক এলাকায় সর্বসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।