এখন থেকে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়কেই বাধ্যতামূলক হেলমেট পরিধান করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে রবিবার থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শুরু করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। এদিকে মোবাইল কোর্টে যে সব মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের আটক করা হয় তাদের জরিমানা হিসেবে ট্রাফিক স্কুলে ক্লাস করতে হয়েছে। ট্রাফিক স্কুলের ক্লাসে দেখানো হয় মোটর সাইকেলে ক্ষেত্রে হেলমেট কত জরুরি। 

পাশাপাশি ট্রাফিক সিগনালের নিয়ামাবলীও শিখানো। রবিবার দিনভর পরিচালিত মোবাইল কোর্টে আটটি মামলায় চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর, পুলিশ লাইন মোড়ে মোবাইল কোর্ট ও টাউনহল মাঠে ট্রাফিক স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবু সাঈদ ও এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান। 

এ সময় উপস্থিত বিআরটিএর সহকারি মোটরযান পরিদর্শক মো. মিনহাজ উদ্দিন।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাইদ বলেন, কুমিল্লা নগরীতে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। 

চালক ও আরোহী উভয়কে হেলমেট পরিধান করতে হবে। এছাড়া একটি মোটরসাইকেলে তিনজন হলে তাদেরকে মোবাইল কোর্টের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় মোটর মাইকেল দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। এমন প্রাণহানির নেপথ্য রয়েছে বাইক চালকদের হেলমেট পরিধানে অনীহা। 

বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাইক চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রাফিক স্কুল বসিয়ে স্কুল নেয়া হচ্ছে।