দেশব্যাপী চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ। তারপরও সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় এবং নতুন সূর্যোদয়কে বরণ করতে ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক।

পর্যটকদের আনাগোনায় প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে কুয়াকাটায়। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসন তৎপর থাকলেও পর্যটকরা ছিল উদাসীন।

এদিকে, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ দর্শনীয় স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছ্বাসিত উপস্থিতি। কেউ নিজের ফোনে সেলফি তুলছে। আবার কেউ বা গান, গল্প আড্ডায় মেতে রয়েছে। তবে এই সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানাতে প্রতিবছর ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক।

এদিকে, প্রতিবছর ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয় হোটেল ও মোটেলগুলোকে। কিন্তু এ বছর তা চোখে পড়ছে না। তবে হোটেল-মোটেলে রুম বুকিং বেড়েছে। মহামারি করোনা কাটিয়ে একটি সুন্দর বছর পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে স্থানীয় হোটেল মোটেল মালিক।

কুয়াকাটায় আসা মামুন ও নেহা বলেন, কয়েকদিন আগে আমেদের বিয়ে হয়েছে। দুজনের সিদ্ধান্ত ছিল ২১ সালে প্রথম দিনটা কুয়াকাটা কাটাবো। তাই তো বৃহস্পতিবার সকালে এখানে এসে পৌঁছেছি। দুপুরে হোটেলের রুম থেকে বেড়িয়ে বিভিন্ন স্পট ঘুরেছি। এখানকার পরিবেশ খুবই ভাল।

আখি আক্তার নামে আরেক পর্যটক বলেন, আগেও কুয়াকাটায় এসেছি। এবছর পরিবারসহ ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এখানে এসেছি।

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচলাক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটের নেই কোনো আয়োজন। তারপরও ব্যাপক পর্যটকের চাপ রয়েছে। আমারাও সাধ্যমতো সেবা দিচ্ছি।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটারস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে। 

নতুন বছর উপলক্ষে গত দুই দিন ধরে পর্যটকদের আগমন বেড়ে গেছে।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এএসপি এম এম মিজানুর রহমান বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। 

মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে।